ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারতের গুজরাট উপকূল থেকে প্রায় ৭৪ হাজার অধিবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ গুজরাটের কুচ জেলার উপকূলে আঘাত হানতে পারে বিপর্যয়।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) বলছে, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় গুজরাট উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে থাকবে। এছাড়া রাজ্যের পোরবন্দর, রাজকোট, মোরবি, জুনাগড়, সৌরাষ্ট্র এবং উত্তর গুজরাট অঞ্চলের জেলাগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) ১৮টি দল, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এসডিআরএফ) ১২টি দল, রাজ্য সড়ক ও নির্মাণ বিভাগের ১১৫টি দল এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বিভাগের ৩৯৭টি উপকূলীয় জেলাগুলোতে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তান আবহাওয়া অধিদফতরের (পিএমডি) জারি করা সবশেষ সতর্ক বার্তা অনুসারে, ঘূর্ণিঝড়টি সিন্ধু উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইনাম হায়দার মালিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ৭৫টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৬২ হাজার লোককে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।