কাল সারা দিন পরা হবে হলুদ রঙের পোশাক। পোশাকের পাশাপাশি সাজেও থাকবে ফুলের ছোঁয়া। সাধারণভাবে চুল বেঁধে ফুল গুঁজে দিলেই চলে আসবে ভিন্নতা। শুধু গোলাপ, গাঁদা আর বেলিতে আটকে না থেকে নয়নতারা, গ্ল্যাডিওলাস, তারাফুল, চন্দ্রমল্লিকাতেও সাজিয়ে তুলতে পারেন চুল।
ফুলের বেণি
লম্বা চুল বাঁধতে যেমন লাগে দীর্ঘ সময়, তেমনি প্রয়োজন ধৈর্য। তাই, চুল লম্বা হলে আর উৎসবের দিন কোনো ধরনের ঝুটঝামেলায় যেতে না চাইলে সামনের দিকে সুবিধামতো সিঁথি করে পেছনে সহজে একটি বেণি করে নিন। শাড়ি হলুদ বলে যে শুধু হলুদ ফুলই মানাবে, বিষয়টি কিন্তু মোটেও সে রকম নয়।
লম্বা বেণিতে একে একে নানা আকার ও রঙের ফুল, যেমন ছোট-বড় চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, তারাফুল ইত্যাদি লাগিয়ে নিতে পারেন। শাড়ি কিংবা সালোয়ার–কামিজ, সবকিছুর সঙ্গেই বেশ মানিয়ে যাবে চুলের এ সাজ।
খোলা চুলে ফুল
ঢেউখেলানো চুল যেন ঠিক বসন্তের হাওয়ার মতো। প্রাকৃতিকভাবে সোজা চুল হলে যন্ত্র দিয়ে চুল হালকা করে কোঁকড়া করে নিন। হেয়ারস্প্রে ব্যবহার করুন। এতে দীর্ঘ সময় চুল একই রকম থাকবে। এরপর সামনের দিকে ইচ্ছেমতো সিঁথি করে নিন। দুপাশ থেকে অর্ধেক চুল পেছনে নিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন।
এবার ক্লিপের ওপর ইচ্ছেমতো ফুল লাগিয়ে নিন। পেছনের খোলা কোঁকড়ানো চুলের কয়েকটি জায়গায় ছোট ছোট বিভিন্ন রঙের ফুল কালো ববিপিন দিয়ে লাগিয়ে নিন। দেখে মনে হবে, চুল বেয়ে ঝরে পরছে ফুল। মাঝারি কিংবা ছোট চুলে এই স্টাইল খুব মানাবে।