দিবসটিকে সামনে রেখে গত রোববার (১১ জুন) বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে পুলিশ ব্লাড ব্যাংক চালু করেছে ‘পুলিশ ব্লাড ব্যাংক পদক’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ আবদুল্লাহ আল মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, ব্লাড ডোনার এবং চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের আজীবন পৃষ্ঠপোষক ও টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. মনোয়ার হাসনাত খান, ৩৫ বার রক্তদাতা মো. নজরুল ইসলাম ও রক্তদাতা আমেনা হীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, রক্তদাতারা নীরবে-নিভৃতে মানুষের জীবন বাঁচাতে রক্ত দিয়ে যাচ্ছেন। তারা কোনো কিছুর বিনিময়ে এ কাজ করেননি। তারা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের এ ঋণের কোনো প্রতিদান হয় না।
আইজিপি দেশের জন্য, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে ৭১ জন রক্তদাতাকে পদক দেয়া হয়। এর মধ্যে একুশবারের বেশি রক্তদাতা পাঁচজনকে গোল্ড পদক, ষোলোবারের বেশি রক্তদাতা ১৪ জনকে সিলভার পদক এবং ১০ থেকে ১৫ বার রক্তদাতা ৫২ জনকে ব্রোঞ্জপদক দেয়া হয়। আইজিপি পদকপ্রাপ্তদের হাতে ‘পুলিশ ব্লাড ব্যাংক পদক’ তুলে দেন।
উল্লেখ্য, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ‘রক্তে মোরা বাঁধন গড়ি, রক্ত দেব জীবন ভরি’ স্লোগান সামনে রেখে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর চালু করে ‘পুলিশ ব্লাড ব্যাংক’। বর্তমানে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ‘পুলিশ ব্লাড ব্যাংক’-এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের ডোনারের সংখ্যা ৪২ হাজার ৫৯৩ জন। এর মধ্যে পুলিশ সদস্য ৫ হাজার ৪৭৬ জন। সাধারণ ডোনার ৩৭ হাজার ১২৬ জন। ডোনারদের কাছ এ পর্যন্ত সংগৃহীত রক্তের পরিমাণ ৬২ হাজার ৫২১ ব্যাগ। আর সরবরাহ করা রক্তের পরিমাণ ৬১ হাজার ২৫৪ ব্যাগ।