রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কৌশলগত নীতিপত্রে ইউক্রেনে মস্কোর ‘বিশেষ সামরিক অভিযানকে’ ‘আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে এবং ‘আন্তর্জাতিক আইন এবং ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এতে বার্লিন রাশিয়াকে একটি সাম্রাজ্যবাদী নীতি পরিচালনা করার এবং মহাদেশে প্রভাবের ক্ষেত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য বলপ্রয়োগের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে।
জার্মান নথিতে বলা হয়েছে, ‘ইউরোপের শান্তি-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা লঙ্ঘনের মাধ্যমে রাশিয়া সরাসরি আমাদের এবং আমাদের ন্যাটোভুক্ত মিত্র দেশগুলো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। অদূর ভবিষ্যৎ, এমনকি বর্তমানেও রাশিয়া ইউরো-আটলান্টিক এলাকায় আমাদের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।’
নথিতে আরও বলা হয়েছে, জার্মানি বা ন্যাটো কেউই মস্কোর সঙ্গে সরাসরি কোনো সংঘর্ষ চায় না। তবে আমাদের সামরিক জোট অবশ্যই এর সদস্য এবং মিত্র দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবসময় প্রস্তুত।
নথিটির মুখবন্ধে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে মৌলিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তিনি এটিকে একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে চিহ্নিত করেছেন এবং বলেছেন, জার্মানি এই ঘটনাকে তার সশস্ত্রবাহিনীকে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার নতুনভাবে সজ্জিত করার সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করবে।
তবে মস্কো বারবার বলেছে যে পশ্চিমা আধিপত্যবাদী আকাঙ্ক্ষা মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে দ্বন্দ্বের মূল কারণ। পাশাপাশি রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ককে গভীর সংকটের দিকে নিয়ে গেছে। গত সপ্তাহে রাশিয়ার শীর্ষ সিনেটর ভ্যালেন্টিনা ম্যাটভিয়েনকো বলেছিলেন যে, পশ্চিমা দেশগুলোই মস্কোর সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষের পথ খুলে দিয়েছে।