২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রাকিব হোসেনের গোলে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জয়ের সুখস্মৃতি সঙ্গী হয়েছিল বাংলাদেশের। সে ম্যাচেও বাংলাদেশ দলের ডাগ আউটে ছিলেন হাভিয়ের কাবরেরা। এবার আবারও কম্বোডিয়া ম্যাচের আগে ঘুরেফিরেই সে সুখস্মৃতি স্প্যানিশ কোচের। মাথার ওপর পাহাড়সমান বোঝা। সাফে গ্রুপ পর্ব থেকে টানা বিদায়ের ক্ষত এবার মোচন করতেই হবে।
তারপরও দল পড়েছে শক্তিশালী লেবাননের গ্রুপে। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মিশনে নেমে পড়ার আগে এটাই প্রস্তুতির শেষ সুযোগ লাল সবুজের দলের সামনে। অলিম্পিক স্টেডিয়ামের আর্টিফিশিয়াল টার্ফে প্রতিপক্ষ বেশ কঠিন। তবে, অতীতের মতোই জয়ের মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামবে দল আশা কাবরেরার।
বাংলাদেশের হেড কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা বলেন, ‘এ বছর আমাদের মূল লক্ষ্য বিশ্বকাপ বাছাই ও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এগুলো আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। গত বছরও এসেছিলাম এখানে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। এ বছরও তেমন কিছুর আশা করছি। কম্বোডিয়ায় এসে আমরা অনুশীলনের জন্য ভালো সুযোগ ও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছি। এটা সাফে কাজে আসবে।’
ঢাকায় এক সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে ১০ জুন কম্বোডিয়ায় পৌঁছেন জামালরা। এখানেও টানা অনুশীলন করেছেন ফুটবলাররা। টিফি স্পোর্টসের বিপক্ষে সোহেল রানার গোল পাওয়া জয় বাড়িয়েছে আত্মবিশ্বাস। তৃতীয়বারের মতো এখানে এসেছেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তার চোখে টেকনিক্যালি বেশ শক্তিশালী কম্বোডিয়ার ফুটবলাররা।
বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো আমি কম্বোডিয়াতে এলাম। দশ দিন ধরে যেভাবে আমরা ট্রেনিং করেছি, প্রস্তুতি নিয়েছি, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। কিন্তু এখানে এসে আমরা স্থানীয় একটি দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়েছি, যেটা আমাদের জন্য ভালো বিষয় ছিল, ভালো পরীক্ষা ছিল, কিন্তু আগামীকাল মূল পরীক্ষা, যেটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
অলিম্পিক স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৩০ হাজার। এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে সব টিকিট। এখন পর্যন্ত দুদলের দেখা হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে চারটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। একটি ম্যাচ হয়েছে ড্র।