সুঠামদেহের অধিকারী, তাই নাম রাখা হয়েছে ‘সুলতান’। প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকার খাদ্য খাওয়ানো হয় গরুটিকে।
কামাল এগ্রো পার্ক খামারে ‘সুলতান’ ছাড়াও দেখা মিলবে দেশি-বিদেশি বড় বড় ৪৮টি গরু। এরমধ্যে কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তত রাখা হয়েছে ৩০টি গরু । প্রতিটি গরুর ওজন সাড়ে ৩০০ থেকে ১০০০ কেজি পর্যন্ত। মাত্র ২ বছর ৩ মাস লালন পালনে খামারে সুলতানের লাইভ ওয়েট হয়েছে ১১৮৩ কেজি।
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাগা গ্রামের কামাল এগ্রো পার্কের মালিক শেখ কামাল হোসেন বলেন, শখের বসে করোনার সময়ে ফকিরহাটের বেতাগা পশুর হাট থেকে এক বছর বয়সী হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি ১ লাখ ৩৯ হাজার টাকায় কেনা হয়। সম্পূর্ণ অর্গানিক উপায়ে সঠিক পদ্ধতিতে পশুটি পালন করা হচ্ছে। মাত্র ২ বছর ৩ মাসে সুলতানের লাইভ ওজন ১১৮৩ কেজি। প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকার খড়, ঘাস ও ভুষিসহ দেশিয় খাবার খায়াওনো হয়।
তিনি জানান, শখের বসে পশু লালন পালন করা হলেও বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলা খামারের সবচেয়ে বড় গরু সুলতানকে ঈদে ন্যায্য মূল্যে পেলে বিক্রি করে দেয়া হবে।
প্রতিবেশী মো.মামুন বলেন, বিশাল আকৃতির গরু সচরাচর আমাদের এলাকায় দেখা যায় না। তাই বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এই সুলতানকে দেখতে আসছেন। দর-দামে এখনও মিলছে না। তবে ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসবে ক্রেতারা সুলতানকে দেখতে ভিড় করবে।
বাগেরহাট রামপাল উপজেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রাথমিক পশু চিকিৎসক মো. এনামুল আকুঞ্জি বলেন, দেশি ও বিদেশি জাতের বিভিন্ন গরু লালন ও পালন খামারিদের নানা পরামর্শ দেয়া হয়। আমার জানামতে এত বড় গরু আরও কোথাও নেই।
বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, এবার জেলায় ৮ হাজার খামারে ১ লাখ ২ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু সুলতান।