দীর্ঘদিন ধরেই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি প্রযুক্তির সংমিশ্রণে হেডসেট তৈরি করা নিয়ে কাজ করে আসছিল অ্যাপল। বেশ কয়েকবার উন্মোচনের দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা হলেও হেডসেটটি বাজারে আনেনি কোম্পানিটি। তবে সোমবার সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এর উন্মোচন করলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী বা সিইও টিম কুক। এর মধ্য দিয়ে মেটার সঙ্গে অ্যাপলের প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অ্যাপল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হেডসেটটি দেখতে অনেকটাই স্কি গগলস এর মতো। যা দেখা ও শোনার ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে। ব্যবহারকারীরা এটি দিয়েই ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে অ্যাপস ব্যবহার, মুভি দেখা এবং ডকুমেন্টস লিখতে পারবেন। এটিতে থাকছে ১২ টি অত্যাধুনিক ক্যামেরা, যা দিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করা যাবে। এছাড়া থাকছে ছয়টি মাইক্রোফোন। চোখ ও হাত দিয়ে সহজেই এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য থাকছে সেন্সর।
দুই ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ দেয়া হেডসেটটির দাম তিন হাজার ৪ শ ৯৯ ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় সাড়ে তিন লাখের বেশি। মেটার কুয়েস্ট হেডসেটের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দাম অ্যাপলের হেডসেটটির। তবে দাম নিয়ে কমবেশি যাইহোক শিগগিরই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
অ্যাপলের মিক্সড হেডসেট আগামী বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাওয়া যাবে। ওই বছরের শেষের দিকে বিশ্বব্যাপী এর বাজারজাত হতে পারে। হেডসেটটির জন্য মেটাভার্সের আদলে একটি ত্রিমাত্রিক ভার্চুয়াল দুনিয়া বানানোর পরিকল্পনা করছে অ্যাপল।
উল্লেখ্য, এদিন ১৫ ইঞ্চির সবচেয়ে পাতলা ম্যাকবুক বাজারে আনার ঘোষণা দেয়া হয়। যা পাওয়া যাবে ১ হাজার ২৯৯ ডলারে।